শশীতকালীন সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের মধ্য নানান ধরনের ভুল ধারনা আছে। এই সর্ম্পকে আমাদেরকে সঠিক ভাবে জানা জরুরি। আধুনিক কৃষিতে এখন সব কিছু সম্ভব।
শীতকালীন সবজি চাষ পদ্ধতি
শীতকালীন সবজি চাষ বাংলাদেশের কৃষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শীতকালীন সবজিগুলোতে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এগুলোর চাহিদাও বেশি। এসব সবজি চাষ করে কৃষকরা ভালো লাভবান হতে পারেন।শীতকালীন সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর থেকে মার্চ মাস। এই সময়ে আবহাওয়া শীতল থাকে এবং বৃষ্টিপাত কম হয়। তাই এই সময়ে সবজি চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ভালো মানের জমি নির্বাচন করা জরুরি। জমিটি উঁচু, সুনিষ্কাশিত এবং ভালো নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন হওয়া উচিত। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।
শীতকালীন সবজি চাষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
বীজ নির্বাচন:
শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ভালো জাতের বীজ নির্বাচন করা জরুরি। বীজ নির্বাচনের সময় বীজের মান, পরিপক্বতা এবং বীজের উৎস লক্ষ্য রাখতে হবে।
বীজ বপণ:
বীজ বপণের জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা জরুরি। সাধারণত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ বপণ করা হয়। বীজ বপণের সময় জমি ভালোভাবে মই দিয়ে সমান করে নিতে হবে। বীজ বপণের পর মাটি হালকাভাবে চাপা দিয়ে দিতে হবে।
সার প্রয়োগ:
শীতকালীন সবজি চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত বীজ বপণের আগে জমিতে গোবর সার, ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পর জমি ভালোভাবে চাপা দিয়ে দিতে হবে।
সেচ ও নিকাশী ব্যবস্থা:
শীতকালীন সবজি চাষের জন্য সেচ ও নিকাশী ব্যবস্থা ভালোভাবে করতে হবে। সেচের মাধ্যমে গাছের পানির চাহিদা পূরণ করতে হবে এবং নিকাশীর মাধ্যমে জমিতে জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে।
- আগাছা দমন: শীতকালীন সবজি চাষে আগাছা দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আগাছা গাছের পুষ্টি উপাদান শোষণ করে এবং গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। তাই আগাছা দমনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- পোকামাকড় ও রোগ দমন: শীতকালীন সবজি চাষে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ হতে পারে। তাই পোকামাকড় ও রোগ দমনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- সংগ্রহ: শীতকালীন সবজি পরিপক্ব হলে সংগ্রহ করতে হবে। সবজি সংগ্রহের সময় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে যাতে সবজি নষ্ট না হয়।
শীতকালীন সবজি চাষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সবজি হলো:
- ফুলকপি
- বাঁধকপি
- শিম
- টমেটো
- লাউ
- মুলা
- মিষ্টিকুমড়া
ফুলকপি
ফুলকপি একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফুলকপিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক রয়েছে।
ফুলকপির চাষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করা হয়। তবে শীতকালে ফুলকপির চাষ বেশি হয়। ফুলকপি চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর থেকে মার্চ মাস।
ফুলকপি চাষের জন্য জমি নির্বাচন:
ফুলকপি চাষের জন্য উঁচু, সুনিষ্কাশিত ও ভালো নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন জমি নির্বাচন করতে হবে। জমির পিএইচ ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
জমি তৈরি:
ফুলকপি চাষের জন্য জমি ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে। জমিতে গোবর সার, ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বপণ:
ফুলকপির বীজ বপণের জন্য অঙ্কুরোদগম তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রয়োজন। সাধারণত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ বপণ করা হয়।
বীজ বপণের জন্য জমিতে লাইন তৈরি করে নিতে হবে। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৪৫ থেকে ৬০ সেমি এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ১৫ থেকে ২০ সেমি রাখতে হবে। বীজ বপণের পর মাটি হালকাভাবে চাপা দিয়ে দিতে হবে।
সেচ ও নিকাশী ব্যবস্থা:
ফুলকপি চাষের জন্য সেচ ও নিকাশী ব্যবস্থা ভালোভাবে করতে হবে। ফুলকপির গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে গাছ পচে যেতে পারে। তাই সেচের পর জমি থেকে অতিরিক্ত পানি অপসারণ করতে হবে।
আগাছা দমন:
ফুলকপি চাষে আগাছা দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আগাছা গাছের পুষ্টি উপাদান শোষণ করে এবং গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। তাই আগাছা দমনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগ দমন:
ফুলকপি চাষে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ হতে পারে। পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ থেকে ফুলকপিকে রক্ষা করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংগ্রহ:
ফুলকপি পরিপক্ব হলে সংগ্রহ করতে হবে। ফুলকপি পরিপক্ব হলে এর পাতা সবুজ থাকে এবং ফুলের বোঁটা শক্ত হয়।
ফুলকপি চাষে কিছু ইউনিক টিপস:
- ফুলকপি চাষে জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় এবং গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- ফুলকপি চাষে পানি সেচের পরিমাণ কমাতে হবে। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই পানি সেচের পরিমাণ কমালেই গাছের পানির চাহিদা পূরণ হয়।
- ফুলকপি চাষে পোকামাকড় ও রোগ দমনের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হয় না এবং সবজির গুণাগুণও নষ্ট হয় না।
ফুলকপির কিছু জাতের নাম:
- ইন্ডিয়ান ক্রাউন
- রেড কিং
- ব্রাইট ক্রাউন
- নিউ ইয়র্ক ক্রাউন
- সুবলং
এই জাতের ফুলকপিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বাঁধাকপিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক রয়েছে।
বাঁধাকপির চাষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করা হয়। তবে শীতকালে বাঁধাকপির চাষ বেশি হয়। বাঁধাকপি চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর থেকে মার্চ মাস।
বাঁধাকপি চাষের জন্য জমি নির্বাচন:
বাঁধাকপি চাষের জন্য উঁচু, সুনিষ্কাশিত ও ভালো নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন জমি নির্বাচন করতে হবে। জমির পিএইচ ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
জমি তৈরি:
বাঁধাকপি চাষের জন্য জমি ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে। জমিতে গোবর সার, ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বপণ:
বাঁধাকপির বীজ বপণের জন্য অঙ্কুরোদগম তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রয়োজন। সাধারণত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ বপণ করা হয়।
বীজ বপণের জন্য জমিতে লাইন তৈরি করে নিতে হবে। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৪৫ থেকে ৬০ সেমি এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ১৫ থেকে ২০ সেমি রাখতে হবে। বীজ বপণের পর মাটি হালকাভাবে চাপা দিয়ে দিতে হবে।
সেচ ও নিকাশী ব্যবস্থা:
বাঁধাকপি চাষের জন্য সেচ ও নিকাশী ব্যবস্থা ভালোভাবে করতে হবে। বাঁধাকপির গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে গাছ পচে যেতে পারে। তাই সেচের পর জমি থেকে অতিরিক্ত পানি অপসারণ করতে হবে।
আগাছা দমন:
বাঁধাকপি চাষে আগাছা দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আগাছা গাছের পুষ্টি উপাদান শোষণ করে এবং গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। তাই আগাছা দমনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগ দমন:
বাঁধাকপি চাষে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ হতে পারে। পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ থেকে বাঁধাকপিকে রক্ষা করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংগ্রহ:
বাঁধাকপি পরিপক্ব হলে সংগ্রহ করতে হবে। বাঁধাকপি পরিপক্ব হলে এর পাতা সবুজ থাকে এবং মাথা শক্ত হয়।
বাঁধাকপি চাষে কিছু ইউনিক টিপস:
- বাঁধাকপি চাষে জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় এবং গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- বাঁধাকপি চাষে পানি সেচের পরিমাণ কমাতে হবে। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই পানি সেচের পরিমাণ কমালেই গাছের পানির চাহিদা পূরণ হয়।
- বাঁধাকপি চাষে পোকামাকড় ও রোগ দমনের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হয় না এবং সবজির গুণাগুণও নষ্ট হয় না।
বাঁধাকপির কিছু জাতের নাম:
- ফোর্টুন
- ব্রাইট ক্রাউন
- নিউ ইয়র্ক ক্রাউন
- সুবলং
এই জাতের বাঁধাকপিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়।
শিম
শিম একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। শিমে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক রয়েছে। শিম একটি উৎকৃষ্ট প্রোটিন উৎস। এটিতে প্রায় ২২ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে।
শিমের চাষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করা হয়। তবে শীতকালে শিমের চাষ বেশি হয়। শিম চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস।
শিমের কিছু জাতের নাম
- চিনা শিম
- লাল শিম
- সাদা শিম
- কালো শিম
এই জাতের শিমগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়।
টমেটো
শীতকালীন সবজি চাষ পদ্ধতির মধ্য টমেটো চাষ একটি অন্যতম অথর্কারী ফসল।
টমেটো চাষ এখন সারাবছরে চাষ করা যাচ্ছে। তবে মুলত শীতকালীন ফসল এটি।শীতকালে টমেটো চাষ আমাদের দেশে ব্যাপকহারে করে থাকে। অক্টোবর -ডিসেম্বর এর মধ্য শীতকালীন টমেটো চাষের উপযুক্ত সময় হিসাবে ধরা হয়।
শীতকালীন টমেটোর জাত সমূহ
- বাহুবালী
- মহারাজা
- বিপুল প্লাস
লাউ
লাউর চাষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করা হয়। তবে শীতকালে লাউর চাষ বেশি হয়।
লাউ চাষের ইউনিক টিপস
লাউ একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। লাউতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক রয়েছে।
লাউ চাষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করা হয়। তবে শীতকালে লাউ চাষ বেশি হয়। লাউ চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস।
লাউ চাষে কিছু ইউনিক টিপস রয়েছে যাতে লাউ চাষের ফলন ও গুণমান বাড়ানো যায়। এই টিপসগুলো হলো:
লাউ চাষে জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় এবং গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জৈব সার হিসেবে গোবর সার, ছাই, কম্পোস্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
লাউ চাষে পানি সেচের পরিমাণ কমাতে হবে। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই পানি সেচের পরিমাণ কমালেই গাছের পানির চাহিদা পূরণ হয়। পানি সেচের পরিমাণ বেশি হলে গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে পারে এবং গাছ পচে যেতে পারে।
লাউ চাষে পোকামাকড় ও রোগ দমনের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। জৈব বালাইনাশক হিসেবে নিম তেল, বিষমুক্ত বিষ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হয় এবং সবজির গুণাগুণও নষ্ট হয়।
লাউ গাছের গোড়ায় বাতাস চলাচলের জন্য কিছু ফাঁকা জায়গা রাখা যেতে পারে। এতে লাউ গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে পারে এবং গাছ পচে যেতে পারে।
লাউ গাছের ফুল ও ফল ধরার সময় নিয়মিত সেচ দিতে হবে। এতে ফুল ও ফল ভালোভাবে ধরে এবং গাছের ফলন বৃদ্ধি পায়।
লাউ গাছের ফল পরিপক্ব হলে সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে। এতে লাউ গাছের ক্ষতি না হয়।
এই ইউনিক টিপসগুলো অনুসরণ করে লাউ চাষ করলে লাউ চাষের ফলন ও গুণমান বাড়ানো সম্ভব।
এছাড়াও, লাউ চাষে কিছু অন্যান্য বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন,
- লাউ চাষের জন্য উঁচু, সুনিষ্কাশিত ও ভালো নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন জমি নির্বাচন করতে হবে।
- জমিতে বীজ বপণের আগে ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে এবং সার প্রয়োগ করতে হবে।
- লাউ গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না।
- লাউ গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে তাড়াতাড়ি সেচ দিয়ে পানি সরিয়ে দিতে হবে।
- লাউ গাছের গোড়ায় মাটির ঢাল তৈরি করে দিতে হবে। এতে পানি জমে থাকতে পারে না এবং গাছ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে লাউ চাষের ফলন ও গুণমান আরও বাড়ানো সম্ভব।
মুলা
মিষ্টিকুমড়া
এই সবজিগুলো চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।
শীতকালীন সবজি চাষে কিছু ইউনিক টিপস:
শীতকালীন সবজি চাষে জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি পায় এবং গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- শীতকালীন সবজি চাষে পানি সেচের পরিমাণ কমাতে হবে। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে তাই পানি সেচের পরিমাণ কমালেই গাছের পানির চাহিদা পূরণ হয়।
- শীতকালীন সবজি চাষে পোকামাকড় ও রোগ দমনের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হয় না এবং সবজির গুণাগুণও নষ্ট হয় না।
4 Comments
HR Hamim · January 19, 2024 at 8:49 am
ঢ্যামনা পেঁয়াজ শীতকালে চাষ করা হয়। এইটা নিউ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন।
akash · January 23, 2024 at 5:58 pm
সামনে অবশ্যই লিখবো
Alamin · January 30, 2024 at 2:40 pm
Thanks for your information
Krishi Biggan · September 25, 2024 at 5:08 am
thanks informative.