হাইব্রিড মরিচের জাত

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম কৃষক -কৃষাণী ও দর্শক- বৃন্দ আসসালামুয়ালাইকুম নতুন আরেকটি পর্বে আপনাদের স্বাগতম আজকে আপনাদের সাথে হাইব্রিড  মরিচের জাত গুলো নিয়ে আলোচনা করব যে জাতগুলো ইতিমধ্যে কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

 হাইব্রিড মরিচের জাত গুলো কি কি

হাইব্রিড মরিচের উল্লেখযোগ্য ৫ টি জাতের নাম সমূহ

  1. নাগাফায়ার
  2. বিজলি প্লাস
  3. ফায়ারবক্স
  4. সানড্রপ
  5. অনল ১৭০১

আজকে আপনাদের জানিয়ে দিবো হাইব্রিড মরিচের  জাত গুলো কখন করবেন কতটুকু জমি কতটুকু প্রয়োজন জাতগুলোর ফলন কেমন হয় এবং জাতগুলোর বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি তার আগে একটা রিকোয়েস্ট এই সাইটে নতুন নতুন প্রতিবেদন সবার আগে পেতে সাইটটি সেভ দিয়ে রাখুন একটি শেয়ার দিয়ে রাখুন যেন নতুন নতুন প্রতিবেদন তৈরি করতে উৎসাহ পায় বন্ধুরা চলুন।

আমাদের অন্য একটি পোস্ট পড়ুন : হাইব্রিড মরিচ চাষ

হাইব্রিড মরিচের জাত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা :-

ধরা যাক আমাদের দেশে অসংখ্য জাত রয়েছে তবে সবগুলো জাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি তবে আজকে আমরা কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় জাত গুলো নিয়ে আলোচনা করব বর্তমান সময়ে কৃষক পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী মরিচের জাত গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নাগা ফায়ার মরিচ

  • হাইব্রিড মরিচের জাত নাগাফায়ার



এই জাতটি বারোমাসি চাষ করা যায় তবে শীতকালে এর ফলন বেশি হয়।শীতকালে চাষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে এর বিস্তার তৈরি করতে হবে এর ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ অবস্থায় আকর্ষণীয় লাল হয়ে থাকে ফল সুগন্ধিযুক্ত ত্বক পুরু ও অত্যন্ত হয়ে থাকে মরিচের যাত্রী প্রতিটি গাছ প্রায় চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় অগাষ্ট 2012 হয়ে থাকে চারা রোপণের 60 থেকে 65 দিনের ফল সংগ্রহ করা যায় এ জাতির গর্ব জীবনকাল 180 থেকে 200 20 দিন যাতে প্রতিটি মরিচ প্রায় 4 ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে এবং ছাত্রের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে 2932 টন পর্যন্ত হতে পারে অতি 33 শতক জমি চাষ করতে প্রজাপতির 50 থেকে 60 গ্রাম ব্রিজ এর প্রয়োজন হয়.

  •  হাইব্রিড মরিচের জাত বিজলি

    প্লাস

বিজলি প্লাস মরিচ দিয়ে এ আর মালিক সিডের  জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে সাথে অনেক সুনাম অর্জন করেছে এ জাতের মরিচের জগতের সবচেয়ে আগাম এটি মাত্র 45 থেকে 50 দিনের ফল সংগ্রহ করা যায় জাতটি উচ্চ তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সহনশীল শীতকাল ব্যাতিতেও  গ্রীষ্মকালেও চাষ করা যায় আকর্ষণীয় সবুজ সোজা আকৃতির ও প্রতিটি ফল সম আকৃতির  হয়ে থাকে প্রতিটি গাছে আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ফলন হয় জাতটি একরে ১৫-১৬ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে জাতটি চাষ করতে এ করে 125 থেকে 150 গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয় জাতটির আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে ভাইরাস বা ঝিমিয়েপড়া পড়া রোগ বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী।

  • হাইব্রিড মরিচের জাত ফায়ারবক্স

ফায়ারবক্স ইউনাইটেড সিডের ফায়ারবক্স মরিচের জাতকে ঝালের রাজা বলা হয় সুতরাং বুঝতেই পারছেন এজাতীয় মরিচের ঝাল তাই যারা শুকনা মরিচ উৎপাদনের মরিচ চাষ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত জাত। কাঁচা অবস্থায় এটির গায়ের রং গাঢ় সবুজ রঙের এবং পাকা অবস্থায় আকর্ষণীয় টকটকে লাল হয়ে থাকে এ জাতের মরিচ সাড়ে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ফল দিয়ে থাকে জাতটির বীজ বপনের উপযুক্ত সময় জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে। এ জাত একরে গড়ে 70 থেকে 80 টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে যা সর্বোচ্চ মরিচের ফলের জাত ফায়ারবক্স এ জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি একটি ব্যকটেরিয়াল উইল্ট ভাইরাস প্রতিরোধী জাত।

  • হাইব্রিড মরিচ জাত সানড্রপ

মরিচের আর একটি জনপ্রিয় জাত হচ্ছে সানড্রপ। এই জাতটি সুপ্রিম সীড কোম্পানী কুরিয়ার থেকে আমদানি করে থাকে জাতটির গায়ের রং গাঢ় সবুজ চারা রোপণের মাত্র 55 থেকে 60 দিনে ফল সংগ্রহ করা যায়।জাতটির বোটা খুব নরম তাই সহজে সংগ্রহ করা যায় ও মরিচ উত্তোলনের সময় গাছের কান্ড ছিড়ে আসেনা  প্রতিটি মরিচ ৩ থেকে 4 ইঞ্চি লম্বা হয় ও থোকায় থোকায় ধরে মরিচের এই জাতটি মাঝারি রকম এর ঝাল তাই সালাত হিসাবেও খাওয়া যায়। এটি একরে 15 থেকে 16 টন পর্যন্ত ফলন হতে পারে।

  • হাইব্রিড মরিচের জাত অনল ১৭০১

অনল ১৭০১ জাতটি এসএসসি কম্পানি বাজারজাত করে থাকে জাতটির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটি খুব ঝাল একটি মরিচের জাত চারা রোপণের 65 থেকে 70 দিনে ফল সংরক্ষণের প্রতি একর জমিতে 10 থেকে 12 টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে যার সারা বছর চাষ করা যায় তবে শীতকালে চাষ করতে চাইলে জুলাই থেকে.

অক্টোবর মাসের মধ্যে বীজ বপন করতে হবে জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি মাঝারি রকমের ভাইরাস সহনশীল এটি আমাদের তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে।

1 thought on “হাইব্রিড মরিচের জাত”

  1. আমি মরিচ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই

    Reply

Leave a Comment

Exit mobile version