Table of Contents

পেঁপে চাষ পদ্ধতি

 

পেঁপে চাষ পদ্ধতি আমাদের দেশে এখন আধুনিক উপায়ে হয়ে থাকে। এটি এমন একটি ফল যা মানুষ কাচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। পেঁপের বেশ কিছু জাতের মাঝে বর্তমানে হাইব্রিড জাতের পেঁপের চাষ এখন বেশি হচ্ছে। ভালো লাভ থাকায় পেঁপে চাষে চাষিরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে ।

পেঁপের বীজ থেকে চারা তৈরির পদ্ধতি

বীজ থেকে বংশ বিস্তার করা যায়। বীজের প্যাকেট কেটে ২ ঘন্টা রোদে শুকানোর পর ঠান্ডা জায়গায় রেখে ঠান্ডা করে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পানিতে ভেজানোর পর পলেথিন ব্যাগে চারা তৈরি করতে হবে। পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপনের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫X৬ সেমি আকারের ব্যাগে সম পরিমাণ বেলে দোআঁশ মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ ভর্তি করে, ব্যাগের তলায় ২-৩ টি ছিদ্র করতে হবে। তারপর এতে সদ্য সংগৃহীত বীজ হলে একটি এবং পুরাতন বীজ হলে ২টি বীজ বপন করতে হবে। ১টি ব্যাগে এক এর অধিক চারা রাখা উচিত নয়।

তাইওয়ানের রেড লেডি ২ গ্রাম বীজের প্রতি প্যাকেট ৫৫০-৬৫০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়।

লাল তীরের বাবু এক গ্রাম বীজের প্রতি প্যাকেট ৪০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়

পেঁপে চাষের উপযুক্ত সময়

আশ্বিন (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) এবং পৌষ (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) মাস পেঁপের বীজ বপনের উত্তম সময়। বপনের ৪০-৫০ দিন পর চারা রোপণের উপযোগী হয়ে ওঠে।

পেঁপের চারা রোপন পদ্ধতি

পেঁপে চাষ পদ্ধতি

১.৫ থেকে ২ মাস বয়সের চারা রোপণ করা যায়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার। ২ মিটার দূরে দূরে ৬০X৬০X৬০ সেমি আকারে গর্ত করে চারা রোপণের ১৫ দিন পূর্বে গর্তের মাটিতে সার মিশাতে হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ২ সারির মাঝখানে ৫০ সেমি নালা রাখতে হবে।

পেঁপে গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি

চারা লাগানোর পর নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি ১ মাস অন্তর প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ফুল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ হবে। শেষ ফল সংগ্রহের আগেও সার দিতে হবে।

পেঁপে গাছ কত বছর ফল দেয়?

পেঁপে সাধারণত বীজ থেকে জন্ম এর ফলে পেপে গাছের বিকাশ খুব দ্রুত হয়। পেঁপে গাছ ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ফল দিতে থাকে একটি উদ্ভিদ সাধারণত ৫ বছর বাঁচে। উন্নত হাইব্রিড জাতের প্রতিটি পেঁপে গাছ থেকে প্রায় ৫০-১২০ টি ফল পাওয়া যায়। জাত ভেদে পেঁপের ওজন গড়ে ১.৫ থেকে ২ কেজি হয়ে থাকে।

পেঁপে গাছের পরিচর্যাঃ

বাগান সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। গাছের গোড়া থেকে আগাছা তুলে ফেলে দিতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি কোদাল দিয়ে হালকা করে দিতে হবে। গাছে অতিরিক্ত ফল ধরলে কিছু ফল ছিড়ে নিয়ে হালকা করে দিলে, বাকি ফল গুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। পেঁপে গাছে বিভিন্ন হরমোন প্রয়োগ করে বেশ সুফল পাওয়া যায়।

ফল সংগ্রহঃ

পেঁপে গাছে সাধারণত ৫-৬ মাসের মধ্য ফুল আসে এবং প্রথম ফল পাওয়া যায় ৭-৯ মাসের মধ্যে। পুষ্ট হওয়ার সময় কোন কোন ফলে হলুদ রং ধারন করবে। পুষ্ট ফলে কিছু দিয়ে খোচা দিলে ফল থেকে পানির মতো তরল আঠা বের হবে। অপুষ্ট ফল থেকে দুধের মতো ঘন আঠা বের হবে।

উন্নত জাতের পেঁপে চাষ পদ্ধতি

বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য পেঁপে চাষ একটি জনপ্রিয় পেশা। কিন্তু, উন্নত ফলন এবং ভালো মানের পেঁপে উৎপাদনের জন্য বিশেষ জাতের পেঁপে চাষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন বিভিন্ন বিশেষ জাতের পেঁপে এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই:

হাইব্রিড পেঁপের জাত

রেড লেডি পেঁপে গাছে

  • রেড লেডি: এই জাতটির ফল বড়, রঙ গাঢ় লাল এবং স্বাদে মিষ্টি। রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো।
  • সুইটবল: এই জাতটি সাধারণত সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলের আকার বড় এবং স্বাদে মিষ্টি।
  • হাইব্রিড জাত: বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্বারা উদ্ভাবিত হাইব্রিড জাতগুলো সাধারণত উচ্চ ফলনশীল এবং রোগবালাই প্রতিরোধী হয়।

রেড লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি

  • হাইব্রিড গাছ গুলির মধ্যে প্রত্যেকটি গাছে পেঁপে ধরে ।
  • রেড লেডি জাতের পেঁপে গাছ সর্বচ্চো ১০ ফিট হয়
  • গাছের উচ্চতা ৬০-৮০ সেমি হলে ফল ধরা শুরু হয়।
  • প্রতিটি গাছে ৫০-১২০ পর্যন্ত ফল ধরে।
  • ৫-৬ মাসের মধ্য ফুল আসে এবং প্রথম ফল পাওয়া যায় ৭-৯ মাসের মধ্য।
  • এই জাতের পেঁপে গুলি বেশ বড়।
  • ফলের রং লাল-সবুজ।
  • এক একটি ফলের ওজন ১.৫ থেকে ২ কেজি।
  • ফলের মাংস বেশ পুরু, গাঢ় লাল রঙের, স্বাদেও বেশ মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত।
  •  কাঁচা ও পাকা উভয়ভাবে বাজারজাত করা যায়।
  • এই জাতের পেঁপে পাকা অবস্থায় সহজে নষ্ট হয় না। ফলে দূর দুরান্তে সহজেই বাজারজাত করা যায়।
  • এই জাতের পেঁপে রিং স্পট ভাইরাস রোগ সহনশীল।
  •  এই জাতের পেঁপের জীবনকাল ২ বছরের অধিক।

বিশেষ জাতের পেঁপে চাষের সুবিধা

  • উচ্চ ফলন: বিশেষ জাতের পেঁপে গাছ সাধারণত বেশি ফল দেয়।
  • ভালো মানের ফল: এই জাতের ফলের আকার বড়, রঙ চমকदार এবং স্বাদ মিষ্টি হয়।
  • রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা: অনেক বিশেষ জাত রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন।
  • বাজারদর: ভালো মানের ফলের জন্য বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়।

বিশেষ জাতের পেঁপে চাষের জন্য কিছু পরামর্শ

  • জাত নির্বাচন: আপনার জমির মাটি, আবহাওয়া এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জাত নির্বাচন করুন।
  • বিশ্বস্ত বীজ: বিশ্বস্ত বীজ কোম্পানি থেকে বীজ সংগ্রহ করুন।
  • সঠিক চাষ পদ্ধতি: বিশেষ জাতের জন্য নির্দিষ্ট চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
  • সার ও পানি ব্যবস্থাপনা: সঠিক পরিমাণে সার ও পানি দিন।
  • রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ: রোগবালাই দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।

কোথা থেকে বিশেষ জাতের বীজ পাওয়া যায়?

  • স্থানীয় কৃষি অফিস: আপনার স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন জাতের বীজের তালিকা পেতে পারেন।
  • বীজ কোম্পানি: বিভিন্ন বীজ কোম্পানি বিশেষ জাতের পেঁপের বীজ বিক্রি করে।
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন জাতের পেঁপের বীজ উদ্ভাবন করে এবং তা কৃষকদের কাছে সরবরাহ করে।

পেপে:-

পেঁপের উপকারিতা

পেঁপে, এই ফলটি শুধু সুস্বাদুই নয়, এর পুষ্টিগুণও অসাধারণ। এটি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। পেঁপের নিয়মিত সেবন শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই পেঁপের আরও কিছু অবিশ্বাস্য উপকারিতা:

স্বাস্থ্যের জন্য পেঁপের উপকারিতা:

  • পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে: পেঁপেতে থাকা পেপেইন নামক এনজাইম পাকস্থলীর সমস্যা যেমন অম্বল, গ্যাস ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।
  • দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বাড়ায়: পেঁপেতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: পেঁপেতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: পেঁপেতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: পেঁপেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সৌন্দর্যের জন্য পেঁপের উপকারিতা:

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে।
  • মুখের মাস্ক: পেঁপের পাল্প মধু বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক মসৃণ এবং কোমল হয়।
  • চুলের যত্ন: পেঁপে চুলের জন্যও উপকারী। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

পেঁপে খাওয়ার নিয়ম:

  • কাঁচা: পেঁপে কাঁচা খেতে পারেন।
  • স্যালাদ: স্যালাদে পেঁপে কেটে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • সমুদ্রী খাবারের সাথে: মাছ বা চিংড়ি মাছের সাথে পেঁপে খেতে পারেন।
  • জুস: পেঁপের জুস করে খেতে পারেন।
  • স্মুথি: স্মুথিতে পেঁপে মিশিয়ে খেতে পারেন।

পেঁপে গাছের পরিচর্যা


পেঁপে গাছের ছবি

পেঁপে গাছ চাষ করতে চান? দারুণ! পেঁপে একটি পুষ্টিকর ফল এবং এর চাষও তেমন কঠিন নয়। তবে সুস্বাদু এবং বড় আকারের পেঁপে পেতে সঠিক পরিচর্যা দেওয়া জরুরি। আসুন জেনে নিই পেঁপে গাছের পরিচর্যার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

জমির প্রস্তুতি

  • মাটি: পেঁপে গাছ ভালো জলাধিকার এবং পুষ্টিকর মাটিতে ভালো হয়।
  • দেখাশুনা: জমি ভালো করে চাষ করে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
  • সার: জৈব সার যেমন গোবর সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।

চারা রোপণ

  • সঠিক সময়: বর্ষা মৌসুমের শুরুতে চারা রোপণ করলে ভালো হয়।
  • দূরত্ব: চারাগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত দূরত্ব রাখতে হবে যাতে তারা ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ত: গর্ত করে চারা রোপণ করলে ভালো হয়। গর্তে একটু পচা গোবর মিশিয়ে দিতে পারেন।

সেচ

  • নিয়মিত: গাছের বয়স এবং আবহাওয়া অনুযায়ী নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
  • পানি জমতে দেবেন না: জমে থাকা পানি গাছের শিকড় পচিয়ে ফেলতে পারে।

সার

  • জৈব সার: নিয়মিত জৈব সার দিয়ে মাটির উর্বরতা বাড়াতে হবে।
  • রাসায়নিক সার: প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে।

পেঁপের রোগবালাই:-

জৈবিক পদ্ধতিতে সমাধান

পেঁপে চাষিরা প্রায়ই বিভিন্ন রোগবালাইয়ের সমস্যায় পড়েন। এই রোগবালাইগুলি পেঁপের ফলন ও গুণগত মান কমিয়ে দেয়। তবে, রাসায়নিক কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণে, জৈবিক পদ্ধতিতে পেঁপের রোগবালাই দমন করা একটি সময়োচিত ও টেকসই সমাধান।

পেঁপের সাধারণ রোগবালাই ও তাদের জৈবিক দমন:

  • ময়না রোগ: এই রোগে পাতার উপর হলুদ দাগ দেখা যায় এবং ফল পচে যায়।
    • জৈবিক দমন: ত্রিচোগ্রামা, বীজ চিকিৎসা, জৈব কীটনাশক ব্যবহার।
  • পাতা মোচড়ানো রোগ: এই রোগে পাতা মোচড়িয়ে যায় এবং ফল ছোট হয়ে যায়।
    • জৈবিক দমন: প্রাকৃতিক শত্রু পোকা ব্যবহার, আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলা।
  • ফল পচা রোগ: এই রোগে ফল পচে যায় এবং গাছ মারা যেতে পারে।
    • জৈবিক দমন: বীজ চিকিৎসা, জৈব কীটনাশক ব্যবহার, আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করা।
জৈবিক পদ্ধতির সুবিধা:
  • পরিবেশবান্ধব: রাসায়নিক কীটনাশকের মতো পরিবেশ দূষণ করে না।
  • মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ: ফলে রাসায়নিকের অবশেষ থাকে না।
  • দীর্ঘস্থায়ী: প্রাকৃতিক শত্রু পোকা দীর্ঘদিন রোগবালাই দমনে কাজ করে।
  • অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক: দীর্ঘমেয়াদে খরচ কম হয়।
জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহারের কিছু পরামর্শ:
  • সঠিক জাত নির্বাচন: রোগবালাই প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করুন।
  • স্বাস্থ্যকর মাটি: মাটিতে জৈব সার ব্যবহার করে উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করুন।
  • পর্যাপ্ত জলসেচ: পেঁপে গাছকে নিয়মিত জল দিন।
  • আক্রান্ত অংশ দ্রুত সরিয়ে ফেলুন: আক্রান্ত পাতা, ফল ইত্যাদি সরিয়ে ফেলে রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করুন।
  • প্রাকৃতিক শত্রু পোকা আকৃষ্ট করুন: ফুলের বাগান তৈরি করে প্রাকৃতিক শত্রু পোকা আকৃষ্ট করুন।
  • দেখাশুনা: নিয়মিত গাছগুলো পরীক্ষা করে রোগ বা কীটের আক্রমণ লক্ষ্য করুন।
  • প্রতিকার: যদি কোনো রোগ বা কীটের আক্রমণ লক্ষ্য করেন তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।

জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পেঁপের রোগবালাই দমন করা সম্ভব। এটি পরিবেশবান্ধব, মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। তাই, চাষিরা জৈব পদ্ধতি অবলম্বন করে পেঁপে চাষ করে ভাল ফলন ও লাভ অর্জন করতে পারেন

কাটছাঁট

  • শুকনো ডাল: শুকনো বা ক্ষতিগ্রস্ত ডালগুলো কেটে ফেলুন।
  • আকার: গাছের আকার ধরে রাখতে কাটছাঁট করুন।

ফল সংগ্রহ

  • পাকা ফল: পাকা ফল নিজে থেকেই গাছ থেকে পড়ে যায়।
  • সাবধানে: ফল সংগ্রহের সময় সাবধানে করুন যাতে ফল নষ্ট না হয়।

অতিরিক্ত টিপস

  • মাল্চিং: গাছের গোড়ায় খড় বা পাতা দিয়ে মাল্চিং করলে মাটি আর্দ্র থাকে এবং আগাছা কম হয়।
  • পরাগায়ন: মৌমাছি পরাগায়ণে সাহায্য করে। তাই বাগানে মৌমাছির বাসা রাখলে ভালো হয়।।

কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন:

  • অ্যালার্জি: কেউ কেউ পেঁপের প্রতি অ্যালার্জিক হতে পারেন। তাই খাওয়ার আগে একটু পরিমাণে খেয়ে দেখুন।
  • পাকা পেঁপে: অপরিপক্ক পেঁপে খাওয়া উচিত নয়।
  • মাত্রা: যদি আপনি কোনো ওষুধ সেবন করেন, তাহলে পেঁপে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুন:-কাঁচা মরিচ

Categories: কৃষি

mzr

Hi, I am a content writer on informative topic.Profile Summary A highly skilled content writer specializing in informative content across various domains. With a strong command of language and an ability to research and simplify complex topics, I create engaging and valuable content tailored for diverse audiences. My punctuality and leadership qualities allow me to meet deadlines efficiently while delivering top-quality work that aligns with client expectations.Key Skills Expertise in writing informative content Strong research and analytical skills Excellent command of grammar and style Ability to write for multiple platforms (blogs, articles, etc.) Punctual and deadline-oriented Leadership and team management skills Work Experience Content Writer | Freelance – PresentWrite and deliver high-quality, informative content for various clients and platforms. Research diverse topics thoroughly to ensure accuracy and relevance. Adapt writing style according to the target audience and platform. Collaborate with clients to understand their needs and deliver tailor-made content.

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *