আমাদের বাংলাদেশের জনপ্রিয় আমের জাতসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা । আম আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। আমকে তাই ফলের রাজা বলা হয়।
বাংলাদেশের আমের জাত
আম হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। আমকে তাই ফলের রাজা বলা হয়। আমের মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঙ্খিত ফলন পেতে এ সময় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য। কেননা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আমের উৎপাদন মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
আম গাছে সঠিক সময়ে ও সঠিক মাত্রায় সার, সেচ, পোকামাকড়, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা না করায় আমের ফুল ও ফল ঝরে যায় এবং সামগ্রিক ভাবে আমের উৎপাদন ব্যহত হয়। আম উৎপাদনকারী বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ২০টি উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আমের ফুল ও ফল ঝরা রোধের উপায় নিম্নরূপ-
গাছে সার প্রয়োগঃ চারা রোপণের পর গাছের সঠিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করা আবশ্যক। গাছ বৃদ্ধির সাথে সাথে সারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
প্রয়োগ পদ্ধতিঃ বয়স ভেদে নির্ধারিত সম্পূর্ণ পরিমাণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট এবং বরিক এসিড এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও অর্ধেক এমওপি সার সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া ও এমওপি সার সমান দুই ভাগ করে এক ভাগ মার্চ মাসের মাঝামাঝী সময়ে যখন ফল মটর দানার মত হয় তখন এবং অবশিষ্ট ইউরিয়া ও এমওপি সার মে মাসের মাঝামাঝী সময়ে প্রয়োগ করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, গাছের চারিদিকে গোড়া থেকে কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ মি. দূরে হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স বেশি হলে এই দূরত্ব বাড়তে পারে। সার প্রয়োগের পর হালকা সেচ দিতে হবে।
আম পূর্ণাঙ্গ ফলে রূপ নেয় কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে। প্রথমে মুকুল, মুকুল থেকে ফুল, ফুল থেকে গুটি এবং গুটি বড় হয়ে আম ফলে রূপ নেয়। প্রতিটি পর্যায়েই আমগাছের বালাই ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব দিতে হবে। তবে মুকুল আসার আগে এবং পরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কেননা, মকুল ঝরে পড়েই আমের উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পায়।
বিঃদ্রঃ গাছে মুকুল আসার আগে যেমন স্প্রে করার প্রয়োজন নেই তেমনি মকুল ফোটা অবস্থায় কোনোভাবেই স্প্রে করা ঠিক হবে না। কেননা এই সময় প্রচুর সংখ্যক উপকারী পোকা আম বাগানে আসে এবং পরাগায়ণে সহযোগিতা করে। মনে রাখতে হবে যে, গাছে মুকুল আসার পর সঠিকভাবে দুইবার স্প্রে করতে পারলেই গাছে প্রচুর আম থাকবে।
বাংলাদেশের আমের জাত সমূহ: রসালো স্বাদের এক অভিযান
ভূমিকা:
বাংলাদেশ, “আমের দেশ”, তার সুস্বাদু, রসালো এবং পুষ্টিকর আমের জন্য বিখ্যাত।
জনপ্রিয় আমের জাতসমূহ:
ল্যাংড়া:
সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত, হালকা হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
হিমসাগর:
সুগন্ধি, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ।
গোপালভোগ:
বড় আকারের, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ।
আম্রপালি:
সুগন্ধি, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ।
ফজলি: দীর্ঘায়ু, মিষ্টি স্বাদ,
**নাগেশ্বরী:**
**এছাড়াও আরও অনেক জনপ্রিয় বাংলাদেশের আমের জাত রয়েছে:**
* **আম্রপালি:** একটি উন্নত জাত,
* **সূর্যপুরী:**
* **লকনা:**
* **কাঁচামিঠা:**
* **গোপালভোগ:**
* **নাগেশ্বরী:**
* **মোহনভোগ:**
* **ল্যাংড়া:**
* **হিমসাগর:**
* **আশ্বিনা:**
আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
* **ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ:** রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* **ফাইবার:** হজমশক্তি উন্নত করে।
* **পটাশিয়াম:** রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* **ম্যাঙ্গানিজ:** হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আমের ব্যবহার:
* **তাজা:** তাজা আম সরাসরি খাওয়া যায়।
* **রস:** আমের রস বানিয়ে খাওয়া যায়।
* **মিষ্টি:** আম দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি করা যায়।
* **আচার:** আম দিয়ে আচার তৈরি করা যায়।
**আম রসালো স্বাদের এক অভিযান। বিভিন্ন জাতের আমের স্বাদ উপভোগ করুন।**
বাংলাদেশের আমের জাত সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা:
ল্যাংড়া:
* **বৈশিষ্ট্য:** সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত, হালকা হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ, পাতলা খোসা, মাঝারি আকারের।
* **উৎপত্তি:** রাজশাহী।
* **ঋতু:** জুন-জুলাই।
* **বিশেষত্ব:**
* দীর্ঘস্থায়ী
* রসালো
* সহজে বাজারজাত করা যায়
হিমসাগর:
* **বৈশিষ্ট্য:** সুগন্ধি, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ, মাঝারি আকারের, সবুজ থেকে হলুদ রঙের।
* **উৎপত্তি:** গোপালগঞ্জ।
* **ঋতু:** জুলাই-আগস্ট।
* **বিশেষত্ব:**
* অতুলনীয় সুগন্ধ
* রসালো
* দামি
গোপালভোগ:
* **বৈশিষ্ট্য:** বড় আকারের, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ, হালকা হলুদ রঙ।
* **উৎপত্তি:** Dinajpur.
* **ঋতু:** জুলাই-আগস্ট।
* **বিশেষত্ব:**
* আকর্ষণীয় আকার
* রসালো
* দীর্ঘস্থায়ী
আম্রপালি:
* **বৈশিষ্ট্য:** সুগন্ধি, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ, মাঝারি আকারের, হলুদ রঙ।
* **উৎপত্তি:**
* **ঋতু:** জুলাই-আগস্ট।
* **বিশেষত্ব:**
* উন্নত জাত
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
* দীর্ঘস্থায়ী
ফজলি:
* **বৈশিষ্ট্য:** দীর্ঘায়ু, মিষ্টি স্বাদ, পাতলা খোসা, বড় আকারের, হালকা সবুজ রঙ।
* **উৎপত্তি:**
* **ঋতু:** আগস্ট-সেপ্টেম্বর।
* **বিশেষত্ব:**
* দীর্ঘস্থায়ী
* রসালো
* মিষ্টি স্বাদ
**এই তালিকাটি কেবলমাত্র কিছু জনপ্রিয় বাংলাদেশের আমের জাতের বিস্তারিত বর্ণনা।**
বাংলাদেশের আমের জাত সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে আরও জানতে:
আমের বিভিন্ন জাত সম্পর্কে জানতে আমরা নিচে যোগাযোগ করতে পারি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
আমের জাতসমূহের বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
বাংলাদেশের আমের জাত সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা (চলমান):
আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সুস্বাদু আমের জাতসমূহ:
রাজশাহী:
ল্যাংড়া
গোপালভোগ
হিমসাগর
ফজলি
আম্রপালি
সূর্যপুরী
দশহরী
কাঁচামিঠা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
লালবাগ
গোপালভোগ
আম্রপালি
সূর্যপুরী
ল্যাংড়া
দিনাজপুর:
হিমসাগর
গোপালভোগ
ল্যাংড়া
আম্রপালি
সূর্যপুরী
নাটোর:
ল্যাংড়া
গোপালভোগ
হিমসাগর
আম্রপালি
পাবনা:
ল্যাংড়া
গোপালভোগ
হিমসাগর:
আম্রপালি
টাঙ্গাইল:
গোপালভোগ
হিমসাগর
ল্যাংড়া
আম্রপালি
ময়মনসিংহ:
গোপালভোগ
হিমসাগর
ল্যাংড়া
আম্রপালি
কুষ্টিয়া:
ল্যাংড়া
গোপালভোগ
হিমসাগর
আম্রপালি
এই তালিকাটি কেবলমাত্র কিছু জনপ্রিয় আমের জাতের তালিকা।
বাংলাদেশের আমের জাত সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে আরও জানতে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
ভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
আমের জাতসমূহের বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
বাংলাদেশ সহ বিভিন্নদেশের আমের জাতসমূহ: রসালো স্বাদের এক অভিযান
আম, “ফলের রাজা”, সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং সারাবছর পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে আমের প্রায় 1000 টিরও বেশি জাত পাওয়া যায়।
**জনপ্রিয় বাংলাদেশের আমের জাত সমূহ:**
* **ল্যাংড়া:** সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত, হালকা হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
* **হিমসাগর:** সুগন্ধি, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ।
* **গোপালভোগ:** বড় আকারের, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ।
* **আম্রপালি:** সুগন্ধি, পাতলা খোসা, মিষ্টি স্বাদ।
* **ফজলি:** দীর্ঘায়ু, মিষ্টি স্বাদ,
* **নাগেশ্বরী:**
**বিশ্বের বিখ্যাত আমের জাতসমূহ:**
* **টমি অ্যাটকিন্স (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র):** বড় আকারের, হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
* **কারাবাও (ফিলিপাইন):** সবচেয়ে মিষ্টি আম, হলুদ রঙ, পাতলা খোসা।
* **Kesar (ভারত):** সুগন্ধি, গাঢ় হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
* **Maha Chanok (থাইল্যান্ড):** বড় আকারের, হালকা হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
* **Irwin (অস্ট্রেলিয়া):** বড় আকারের, হলুদ রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
**আম নির্বাচনের টিপস:**
* **পাকা আম:** আমটি হালকা নরম, সুগন্ধযুক্ত এবং রঙ পরিবর্তিত হবে।
* **আকার:** আকারের চেয়ে গুণগত মান গুরুত্বপূর্ণ।
* **খোসা:** পাতলা খোসার আম বেশি রসালো।
**আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা:**
* **ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ:** রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* **ফাইবার:** হজমশক্তি উন্নত করে।
* **পটাশিয়াম:** রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* **ম্যাঙ্গানিজ:** হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
**আমের ব্যবহার:**
* **তাজা:** তাজা আম সরাসরি খাওয়া যায়।
* **রস:** আমের রস বানিয়ে খাওয়া যায়।
* **মিষ্টি:** আম দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি করা যায়।
* **আচার:** আম দিয়ে আচার তৈরি করা যায়।
**আম রসালো স্বাদের এক অভিযান। বিভিন্ন জাতের আমের স্বাদ উপভোগ করুন।**
**এই টিউটোরিয়ালটি আপনাকে বাংলাদেশের আমের জাত সমূহ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।**
আরো পড়ুন :- বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র
0 Comments