আগাম মরিচ চাষ

আগাম মরিচ চাষ করলে বাজারদর বেশি পাওয়া যায়।এইটি যেমন সত্য ঠিক অতি আগাম করতে যে ফলনও যেমন কমে।পাশাপাশি হয়তো ফসলটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

আগাম মরিচ চাষ

এই যে আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে কৃষকদের কলটা আমরা face করছি বা উদ্যোক্তাদের যে প্রশ্নটা আসছে যে ভাই আমি এই মুহূর্তে মরিচ লাগাবো।জমি খালি হয়ে গেছে।

তো এই যে এই মুহূর্তে মরিচ চাষ করব,কিন্তু আমাদের আইডিয়াই নাই যে এই হাইব্রিড মরিচ কোন সময় লাগানো উচিত।

আপনি বাজারদর অবশ্যই আগাম ধরবেন।কিন্তু সেই আগাম ধরতে যে extra আগাম লাগিয়ে ফসলটাই যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তো আগাম বলে কিছু থাকল না।

তো basically আজকের এই প্রতিবেদন হবে আগাম মরিচ চাষ করব কোন সময় এবংকোন জাতগুলো চাষ করব সেটা নিয়েই থাকছে আজকের এই প্রতিবেদন।আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকবেন এবং আধুনিক কৃষি সম্পর্কিত যত প্রতিবেদন বা যত knowledge দরকার হয়  infoseba থেকেই নিবেন।

কৃষি উদ্যোক্তা।আপনাকে বলছি।বিষয় হচ্ছে আপনি স্মার্ট কৃষির সাথে যুক্ত।স্মার্ট কৃষি মানে শুধুমাত্র অতি আগাম করে প্রচুর ফলন ফলাবেনএরকম কিছু না।কৃষি এমন একটা জায়গায় যে জায়গাতে প্রচুর knowledge এর দরকার হয়,প্রচুর প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়।আর সেই জায়গাতে আপনাকে ঠিক planning ঠিক production technology জানতেহবে।আমি মরিচ নিয়ে কথা বলছি।

 

আগাম মরিচ কখন চাষ করবেন:

মরিচের ঘটনা ঘটছে যে আমরা আগাম মরিচ চাষ করতে যাচ্ছি কোন সময় চাষ করবো?প্রথম জিনিস খেয়াল রাখতে হবে আগাম মরিচ যদি হয় তাহলে সেটা আপনি যদি হাইব্রিড চাষ করেন জুন মাসকে target করতে হবে।একদম অতি আগাম।এই জুন মাসে আপনার জন্য আগাম।আমি যদি জুন মাসে লাগাই,জুনের পনেরোর মধ্যেই যদি লাগানো হয় তাও আগাম হবে।আর এই সময় বৃষ্টিপাত শুরু হয় কিন্তু ঝড়টা অনেকটা কমে আসে।আমি জুন মাসে যদি লাগাই তাহলে দেখা যাবে জুন জুলাই।জুলাইয়ের last এর দিকে যে আমি harvest শুরু করতে পারবো।

হাইব্রিড মরিচের জাতসমূহ

আপনি হাইব্রিড মরিচ চাষ করবেন।এগ্রোয় যে ভ্যারাইটি গুলো দিচ্ছে:

  • নাগা ফায়ার
  • ,ধূমকেতু
  • ওয়ানপ্লাস
  • বিজলি প্লাস
  • f1 hybrid
  • ক্যাপ্টেন

এই জাতগুলো একদম marvelous জাত।আপনাদের একদম guarantee সহ বলছি যে বাংলাদেশের আবহাওয়াতে মানে excellent result।So আপনি মরিচ চাষ করবেন এগ্রোয় এর সাথে থাকেন মching পদ্ধতিতে।latest technology যেগুলো আছে সেগুলো apply করবেন।তবে হ্যাঁ জুন মাসেই আপনি মরিচ লাগাবেন।যদি আগাম করতে চান জুনের জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আপনি মরিচ চাষ করবেন,আপনি বাজারদর পাবেন পাবেন।

আগাম মরিচ চাষ এর বাজারদর

মরিচের বাজার দর যদি আগাম করতে চান  জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আপনি মরিচ চাষ করবেন,আপনি বাজারদর পাবেন পাবেন।এর বেশি আগাম করে আপনার loss করার কোন প্রয়োজন নাই।এই সময় টা আমাদের দেশে অতি বৃষ্টিপাত হয় ফলে নিচু জায়গার জমির মরিচ গুলো নষ্ট হয়ে যাই। এর ফলে মরিচের দাম বেশি হয় কারণ প্রোডাকশনই কম হয়।

আগাম মরিচ চাষে লস হওয়ার কারণ

কিছু জাত আছে যেগুলো local জাত যেগুলো আগাম extra আগাম করেকিন্তু একবার হিসাব করে দেখবেন এই কৃষকগুলো কখনোই মানে অনেকলাভ করে এরকম কিছু ঘটে না।দেখা গেছে বাজারে এক সপ্তাহ বিশ দিন এরকম দাম পেয়েছে।পাওয়ার পরে production ই কম হয়।দাম পাবে না কেন?তো এই হচ্ছে ঘটনা।

আপনার যদি green house থাকে বা poly house থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনার different আপনি করতেই পারেন সারাবছর কোন সমস্যা নাই।

আগাম মরিচ চাষের জন্য জমি নির্বাচন

আগাম হাইব্রিড মরিচ চাষের জন্য উঁচু, সুনিষ্কাশিত ও বেলে দোআঁশ মাটি ভালো। মাটির pH ৫.৫-৬.০ এর মধ্যে হলে ভালো হয়।

হাইব্রিড মরিচের বীজ বপন

হাইব্রিড মরিচের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস। বীজতলা তৈরির ১০-১২ দিন আগে জমি তৈরি করে নিতে হবে। জমি ভালোভাবে চাষ করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। জমিতে গোবর সার, টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করে ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। বীজতলা তৈরির জন্য ৫০x৫০x৩০ সেমি আকারের বেড তৈরি করতে হবে। বেডের মাঝখানে সার সারি করে ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর বীজ সারির উপর ছিটিয়ে দিয়ে হালকা করে মাটি চাপিয়ে দিতে হবে। বীজ বপনের পর জমি ভালোভাবে সেচ দিতে হবে।

আগাম মরিচ চাষের জন্য চারা রোপণ:

৩৫-৪০ দিন বয়সের সুস্থ চারা, ৫০-৬০ সেন্টিমিটার (সারি-সারি) দূরত্বে, ও ৫০-৬০ সেন্টিমিটার (চারা-চারা) পরপর, ৩-৪ সেন্টিমিটার গভীর গর্তে ১টি করে রোপণ করতে হবে।রোপণের পর সেচ দিতে হবে চারা রোপণের পর ২-৩ দিন চারার গোড়ায় হালকা পরিমাণে পানি দিতে হবে।। রোপণের পর সেচ দিতে হবে।

 সার প্রয়োগ:-

হাইব্রিড মরিচ গাছের ভালো ফলন পেতে হলে নিয়মিত সার প্রয়োগ করা জরুরি। হাইব্রিড মরিচের জমিতে প্রতি হেক্টরে নিম্নলিখিত পরিমাণ সার প্রয়োগ করা হয়:

গোবর: ১০ টন

ইউরিয়া: ২৫০ কেজি

টিএসপি: ২০০ কেজি

এমওপি:১৫০ কেজি

সার প্রয়োগের সময়সূচি:
জমি তৈরির সময়: গোবর, টিএসপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের ২৫ দিন পর: ৮৪ কেজি ইউরিয়া ও ৩৪ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের ৫০ দিন পর: ৮৩ কেজি ইউরিয়া ও ৩৩ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের ৭০ দিন পর:৮৩ কেজি ইউরিয়া ও ৩৩ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে

আগাম মরিচ চাষে সার প্রয়োগের সময়সূচি:

জমি তৈরির সময়: গোবর, টিএসপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের ২৫ দিন পর: ৮৪ কেজি ইউরিয়া ও ৩৪ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের ৫০ দিন পর: ৮৩ কেজি ইউরিয়া ও ৩৩ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপণের ৭০ দিন পর: ৮৩ কেজি ইউরিয়া ও ৩৩ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

গোবর সার: জমি তৈরির সময় গোবর সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

রাসায়নিক সার: রাসায়নিক সার ছিটিয়ে দিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

 

আগাম মরিচ চাষে পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন

হাইব্রিড মরিচ গাছে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমণ করতে পারে। তাই পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • পোকামাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধী জাতের মরিচ চাষ করা।
  • সুস্থ ও সবল চারা রোপণ করা।
  • জমি ভালোভাবে চাষ করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
  • অতিরিক্ত সেচ না দেওয়া
  • আগাছা দমন করা।
  • পচা ফল ও পাতা জমি থেকে অপসারণ করা।
  • সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করা।

আগাম মরিচ চাষে পোকামাকড় দমনের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • হাত দিয়ে পোকামাকড় সংগ্রহ করা।
  • প্রয়োজনে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা।
  • প্রয়োজনে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা।
  • রোগের প্রতিরোধী জাতের মরিচ চাষ করা।
  • সুস্থ ও সবল চারা রোপণ করা।
  • জমি ভালোভাবে চাষ করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
  • অতিরিক্ত সেচ না দেওয়া।
  • আগাছা দমন করা।
  • *পচা ফল ও পাতা জমি থেকে অপসারণ করা।
  •  সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করা।

রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মরিচের ফল সংগ্রহ

মরিচের ফল পাকার সময় হলো ৪৫-৬০ দিন। ফল পরিপক্ক হলে হালকা লাল হয়ে যায়। ফল পাকার পর তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করতে হবে। ফল সংগ্রহের পর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করতে হবে।

Leave a Comment

Exit mobile version